আল্লাহর নির্দেশিত পবিত্র জীবনই একজন মুসলিমের প্রকৃত সফলতার পথ। হারাম সম্পর্ক শুধু ঈমান নষ্টই করে না—মানসিক, বৈবাহিক এবং সামাজিক ধ্বংসের কারণ হয়।
শরিয়ত যেকোনো সম্পর্ককে “হারাম” বলে যে সম্পর্ক— নিকাহ ছাড়া নারী-পুরুষের গোপন যোগাযোগ, ঘনিষ্ঠতা, প্রেম, মেসেজিং, ফ্লার্টিং বা গোপনে দেখা-সাক্ষাৎ ইত্যাদি।
আল্লাহ তাআলা বলেন—
“ব্যভিচারের নিকটেও যেও না।”
— (সূরা আল-ইসরা ১৭:৩২)
হৃদয়ে আল্লাহর ভয় জাগ্রত হলে গুনাহ থেকে বাঁচা সহজ হয়। কুরআন পড়া, ভালো পরিবেশে থাকা, নফল ইবাদত—এগুলো খুবই কার্যকর।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (Messenger, WhatsApp, Instagram)— অপ্রয়োজনীয় কথা বন্ধ করা জরুরি।
হারাম সম্পর্কের প্রথম ধাপই “নজর”। নবী ﷺ বলেন— “প্রথম দৃষ্টি ক্ষমাযোগ্য, দ্বিতীয় দৃষ্টি তোমার দোষ।”
গোপন চ্যাট শয়তানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
অতিরিক্ত স্ক্রিনটাইম কমান, হারাম কন্টেন্ট ব্লক করুন, আপনার অ্যাকাউন্ট পরিষ্কার করুন।
বৈধ সম্পর্কই একমাত্র সম্মানজনক পথ। নবী ﷺ বলেন— “যার সামর্থ্য আছে, সে বিবাহ করুক।” (বুখারি/মুসলিম)
নেক সঙ্গী, নেক বন্ধু—হৃদয়কে গুনাহ থেকে দূরে রাখে।
সিনেমা, ড্রামা, মিশ্র পরিবেশ—সবই হারাম সম্পর্ক তৈরি করে।
“আল্লাহ! আমাকে পবিত্রতা এবং চরিত্রকে সংরক্ষণের তৌফিক দিন।”
হারাম সম্পর্ক আজকে আনন্দ দিলেও ভবিষ্যতে ব্যথা, অনুশোচনা, হৃদয়ভঙ্গ এবং জীবনের অস্থিরতা তৈরি করে।
হালাল সম্পর্ক আল্লাহর রহমত, ভালোবাসা, সম্মান এবং বরকত আনে। হারাম সম্পর্ক হৃদয়ের অশান্তি, লজ্জা, ভয় এবং ক্ষতি আনে।