হস্তমৈথুন (মাস্টারবেশন) আধুনিক সময়ে একটি বড় সমস্যা, যা মানুষের মানসিক শক্তি, শরীর, ভবিষ্যৎ বিবাহ এবং ঈমানকে দুর্বল করে। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে— চোখ, নফস এবং লজ্জাস্থানকে হিফাজত করাই প্রকৃত পবিত্রতা।
ইসলামিক কারণে —
কুরআন বলে — “যারা নিজেদের লজ্জাস্থানকে হিফাজত করে… তারা সফল।” — (সূরা মুমিনুন ২৩:৫-৭)
ইবনে কাইয়্যিম (রহ.) বলেন: “হস্তমৈথুন হৃদয়কে দুর্বল করে, দেহকে ক্লান্ত করে এবং গুনাহের প্রতি প্রবল টান তৈরি করে।”
বৈজ্ঞানিক দিক থেকে দীর্ঘদিন এমন অভ্যাসের কিছু নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায় — নিচে সহজ ভাষায় বোঝানো হলো:
নিচের প্রতিটি ধাপ আল্লাহর পথে ধৈর্য ধরে চেষ্টা করলে ধীরে ধীরে অভ্যাস ছাড়া সম্ভব।
প্রথমেই নিজেদের বোঝান যে এটা কোনো অপরাধ নয় যা আপনি বদ কিছুর জন্য জন্মেছেন। অনেকেই অভ্যাস ও পরিস্থিতির কারণে এমনটি করে — নিজের ওপর কঠোর বিচার না করে সমস্যা চিহ্নিত করুন এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চান। স্বালাহ বা কনসেলিং নিতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব বা ওয়েবসাইটে যে কন্টেন্ট আপনাকে উদ্দীপিত করে তাই ব্লক করুন বা ফিল্টার ব্যবহার করুন। ফোনে পাসওয়ার্ড, ব্রাউজার history ক্লিয়ার করার অভ্যাস করুন—পরের বার কম প্রলুব্ধি থাকবে।
চোখ নামানো ও নিকটবর্তী পরিস্থিতি এড়ানো সহজ কিন্তু শক্তিশালী পদ্ধতি। যেখানে প্রয়োজনে চোখ নামাতে পারবেন সেই আধ্যাত্মিক অভ্যাসের ওপর কাজ করুন—যেমন নামাজে ফোকাস বাড়ানো, পর্দা বজায় রাখা, এবং মনের ভেতর যে দৃশ্য আসে তা আল্লাহর স্মৃতিতে বদলে দিন।
ফাঁকা সময় কমানোর চেষ্টা করুন। নিয়মিত হাঁটা, ব্যায়াম, ছোট হবি (পড়াশোনা, কোরআন পাঠ, কিছুকিছু হাতে-কলমে কাজ) নিন। কাজ করলে মনও ব্যস্ত থাকবে এবং ইচ্ছা কমে আসবে।
যখন ইচ্ছা তৈরী হয়, দ্রুত ঠান্ডা পানি দিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে নিতে পারেন অথবা ঠান্ডা শাওয়ার নিন — এটি শরীরকে সতেজ করে এবং কামনাকে কমাতে সাহায্য করে।
রাতে একা থাকতে মোবাইল ব্যবহার করলে সহজেই প্রলুব্ধ ছবি/ভিডিও দেখতে পাওয়া যায়। রাতে ডিভাইস রাখার একটি নির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণ করুন, রাতে ডিভাইস-ফ্রি রুটিন বানান।
রোজা মানসিক ও শারীরিকভাবে নফসকে কাবু করতে সাহায্য করে। যদি পুরো রোজা কঠিন লাগে, দান বা সাঈম (আফতার সংযম) মতো ছোট রুজগার থেকেও শুরু করুন—অন্তত সপ্তাহে একদিন চেষ্টা করুন।
রাতে ঘুমানোর আগে কোরআন তেলাওয়াত বা ছোট দু’আ পড়লে মন শান্ত থাকে। ঘুমানোর আগে আল্লাহর নিকট দোয়া করে আমল বাড়ান — এটা নফসের সঙ্গে লড়াইয়ে সহায়তা করে।
হঠাৎ প্রবল ইচ্ছা হলে নীচের দ্রুত পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করুন — এগুলোক্ষণিকভাবে মন বদলে দেয়:
যদি সম্ভব হয় বিবাহটা পরিকল্পনা করুন—বৈধ সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী সমাধান। অর্থ, আবাস ও সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ছোট কিন্তু নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করুন—কখন কোন ধাপে যাবে তা তালিকাভুক্ত রাখলে আশা কম উদ্বেগ তৈরি হবে।
প্রতিদিন এসব দু’আ মনস্থির করে পড়ুন — বিশেষত নামাজের পরে এবং ঘুমানোর আগে।