ইসলাম শালীনতা, পবিত্রতা এবং হালাল উপায়ে দাম্পত্য সম্পর্ককে উৎসাহিত করে। নিচে মুসলিম দম্পতিদের সবচেয়ে সাধারণ প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত এবং প্রমাণভিত্তিক উত্তর দেওয়া হলো।
ইসলাম যৌন শিক্ষাকে সমর্থন করে — তবে শালীনভাবে এবং হালাল সীমার মধ্যে। পবিত্রতা, নামাজ, গোসল, দাম্পত্য সম্পর্ক, লজ্জাশীলতা—এসব বিষয় ইসলাম স্পষ্টভাবে শিক্ষা দেয়।
হ্যাঁ, পর্ন দেখা বড় গুনাহ এবং এটি হৃদয়কে কালো করে, বিবাহ নষ্ট করে এবং যৌনঅপরাধের দিকে ধাবিত করে। ইসলামে অশ্লীলতার সব রূপ নিষিদ্ধ।
অধিকাংশ আলেমের মতে হস্তমৈথুন হারাম। এটি দেহ, মন ও আত্মাকে দুর্বল করে এবং বৈধ আকাঙ্ক্ষাকে নষ্ট করে দেয়।
হ্যাঁ, স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে ভালোবাসা, রোমান্স ও শারীরিক নৈকট্য বৃদ্ধি করতে পারে। তবে অশ্লীলতা, হারাম কথা বা হারাম পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে না।
হ্যাঁ, স্ত্রীর ওপর জোর করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ইসলাম স্বামীকে দায়িত্ব দিয়েছে স্ত্রীকে সম্মান করতে, তার মন, শরীর ও অধিকার রক্ষা করতে।
➤ পেছন দিকের সম্পর্ক ➤ ঋতুস্রাব অবস্থায় সহবাস ➤ অন্য কাউকে মনে আনা ➤ অশ্লীল ভিডিও দেখা ➤ হারাম কথা/গালি — এগুলো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
এই বিষয়টি অনেকেই লজ্জায় জিজ্ঞেস করেন, কিন্তু ইসলামী শিক্ষায় দাম্পত্য জীবনের হালাল বিষয়ে শালীনভাবে জানা জরুরি।
ইসলামী ফিকহ অনুযায়ী —
স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্মতি থাকলে দাম্পত্য সম্পর্কের অনেক কিছুই জায়েয, তবে কোনো কষ্ট, অপবিত্রতা, বা হারাম কাজ থাকা চলবে না।
⚠ তবে আলেমদের বড় একটি অংশ বলেছেন:
এটি অত্যন্ত অপ্রীতিকর (মাকরূহ তানযীহি বা মাকরূহ তাহরীমি) কারণ এতে অপবিত্রতা মুখে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যেটি ইসলামী শালীনতার বিরুদ্ধে।
📌 **মূলবিন্দু:**
✔ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে হালাল সম্পর্ক বিস্তৃত — কিন্তু
✔ অপবিত্রতা স্পর্শ করা, খাওয়া বা গ্রহণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
✔ তাই আলেমদের মতে এটি পরিত্যাগ করাই উত্তম
✔ শারীরিক ক্ষতির ঝুঁকি ও পবিত্রতার লঙ্ঘন থাকতে পারে
✔ ইসলামের শালীনতা এতে ব্যাহত হয়
💡 **সিদ্ধান্ত:**
এটি হারাম নয় — তবে
মাকরূহ এবং পরিহারযোগ্য কারণ এটি ইসলামী শালীনতা ও পরিচ্ছন্নতার পরিপন্থী।
👨⚕️ **পরামর্শ (Islamic + Medical):**
ডাক্তারদের মতে মুখে ব্যাকটেরিয়া, সংক্রমণ, ভাইরাস ছড়াতে পারে — তাই স্বাস্থ্যগতভাবেও এটি ক্ষতিকর।
হ্যাঁ, সহবাসের আগে দোয়া পড়লে শয়তান থেকে সুরক্ষা দেয় এবং সন্তানের ওপরও প্রভাব পড়ে।
হ্যাঁ। দাম্পত্য সম্পর্কের মাঝেও অন্য কারো কল্পনা করা হলো জিনা-এ-ইচ্ছা (Zina of the mind)।
হ্যাঁ। ইসলাম স্বামীকে নির্দেশ দেয় স্ত্রীকে খুশি করা, তার অধিকার পূরণ করা এবং তাকে কষ্ট না দেওয়া।
হ্যাঁ, অবশ্যই। রাসুল ﷺ স্ত্রীদের সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা করেছেন, রসিকতা করেছেন এবং ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। দাম্পত্য সম্পর্ক রুহানী ও মানসিক শান্তির উৎস।
অতিরিক্ত উত্তেজনা হলে অবিলম্বে পরিবেশ পরিবর্তন করুন, ওযু করুন, হাঁটাহাঁটি করুন, নফল নামাজ পড়ুন এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চান। রসুলুল্লাহ ﷺ উত্তেজনা দমন করার জন্য রোযা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
না, একদমই গুনাহ নয়। স্বপ্নদোষ পুরুষ ও নারীর জন্য স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। তবে এরপর গোসল ফরজ হয়ে যায়।
অশ্লীলতা ইসলাম অপছন্দ করে। স্বামী-স্ত্রী মজার ছলে কথা বলতে পারে, তবে গালি বা জাহেলি অশ্লীলতা কঠোরভাবে নিষেধ।
হ্যাঁ, এটি কঠোর গুনাহ এবং হারাম। স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গতা মানুষের মধ্যে বলা বা প্রচার করা ইসলামে নিষিদ্ধ।
না। বরং লজ্জাশীলতা ঈমানের অংশ। স্বামী-স্ত্রী ভালোবাসার বন্ধনে থাকলেও পরস্পরের প্রতি শালীনতা একটি সুন্দর গুণ।
অধিকাংশ আলেমগণের মতে — বিবাহিত ব্যক্তির হস্তমৈথুন **হারাম**, কারণ তার জন্য বৈধ উপায় (স্ত্রী/স্বামী) উপস্থিত আছে।
আলেমদের মতে এটি **মাকরূহ এবং ঝুঁকিপূর্ণ**, কারণ – ভিডিও রেকর্ড হয়ে যেতে পারে – প্রাইভেসি লঙ্ঘন হতে পারে – শয়তান ও অসৎ লোকেরা সহজে অপব্যবহার করতে পারে। তাই এ কাজ থেকে দূরে থাকা উত্তম।
প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, সুন্নতি খাদ্য গ্রহণ করুন, পর্ন থেকে দূরে থাকুন এবং মানসিক চাপ কমান। ইসলাম ভারসাম্যপূর্ণ জীবনধারা শেখায় — খাওয়া, ঘুম, ইবাদত এবং মানসিক শান্তি।
হ্যাঁ — *শালীন ও হালাল পদ্ধতিতে।* ইসলাম শালীনভাবে যৌনতা সম্পর্কে জ্ঞান দান করেছে — যেমন: গোসল, পবিত্রতা, পরিবারের অধিকার, স্বামী-স্ত্রীর আচরণ ইত্যাদি।
না। সাহাবী নারীরা রসুলুল্লাহ ﷺ এর কাছে সরাসরি অন্তরঙ্গ বিষয়ে প্রশ্ন করতেন — কারণ **দ্বীনের জ্ঞান লজ্জার কারণে লুকানো যায় না।**